পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গোসল কত প্রকার ও কি কি?

ছবি
  গোসল চার-প্রকার   بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ।   গোসল চার-প্রকার যেমনঃ ১.ফরজ গোসল। ২.ওয়াজিব গোসল। ৩.সুন্নাত গোসল। ৪.মুস্তাহাব গোসল।   ১.ফরজ গোসল যে সব কারনে  ফরজ গোসল হয় এর কারণসমূহঃ ১.জাগ্রত বা নিদ্রা অবস্থায় উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হওয়া। ২.স্বপ্ন দোষ হয়ে যদি বীর্য পাত হয়।    ৩.স্ত্রী সহবাস করার দ্বারা গোসল ফরজ হয়।   ৪.নারীদের ঋতু (হায়েজ-মিনস) বা নেফাস (সন্তান প্রসোবত্তোর স্রাব) হওয়া।      ২.ওয়াজিব গোসল যে সব কারনে  ওয়াজিব গোসল হয় এর কারণসমূহঃ ১.মৃত ব্যক্তির গোসল জীবিতদের জন্য ওয়াজিব হয়। ২.কাফের নাপাক শরীর মুসলমান হতে চাইলে এর আগে গোসল করা ওয়াজিব। ৩.ছেলেদের স্বপ্নদোষ মেয়েদের ঋতুস্রাব দ্বারা বালেগ হলে গোসল করা ওয়াজিব। ৪.বিধর্মী স্ত্রীলোক ঋতু বা নেফাছ বন্ধ হওয়ার পর মুসলমান হতে চাইলে  গোসল করা ওয়াজিব।     ৩.সুন্নাত গোসল যে সব কারনে  সুন্নাত গোসল হয় এর কারণসমূহঃ ১.জুমার নামাজের জন্য গোসল করা। ২.দুই ঈদের নামাজের জন্য গোসল করা। ৩. ইহরামের পূর্বে গোসল করা। ৪.আরাফার ম...

দয়া ও কোমল হৃদয় (হাদিস)

ছবি
 হযরত সায়্যিদুনা আনাস رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবী করীম, রউফুর রহীম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “সেই সত্তার শপথ, যার কুদরতের হাতে আমার প্রাণ! আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র দয়ালুকেই তাঁর দয়া দান করেন।” আমরা আরয করলাম: “ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)  আমরা কি সবাই দয়ালু?” ইরশাদ করলেন: “সেই ব্যক্তি দয়ালু নয়, যে শুধুমাত্র নিজের এবং নিজের পরিবার-পরিজনদের উপর দয়া করে বরং দয়ালু সেই ব্যক্তি, যে সকল মুসলমানের উপর দয়া করে।” তথ্যসূত্রঃ  আয যুহুদ লিহানাদ, বাবুর রাহমাতি, হাদীস নং-১৩২৫, ২/৬১৬ আমীরুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদুনা আবু বকর সিদ্দীক  رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, নবীয়ে করীম, রউফুর রহীম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করছেন: “যদি তােমরা আমার দয়া পেতে চাও, তবে আমার সৃষ্টির প্রতি দয়া করাে।” তথ্যসূত্রঃ  আল কামিলু ফি দা ফায়ির রিজাল, নম্বর- ২৩/৫৯৩, খালিদ বিন ওমর, ৩/৪৫৭ হযরত সায়্যিদুনা উসামা বিন যায়েদ رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, প্রিয় আক্বা মক্কী মাদানী মুস্তফা (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা দয়ালু বান্দাদের প্রতিই দয়া করে থাকেন।” তথ্যসূত্রঃ  সহীহ বুখার...

উত্তম চরিত্রের ১ নং হাদিস।

ছবি
 আমীরুল মুমিনীন হযরত সায়্যিদুনা আলী মুরতাদ্বা থেকে বর্ণিত, হুযুর নবীয়ে আকরাম, নূরে মুজাসসাম (ﷺ)  ইরশাদ করেন: “নিশ্চয় বান্দা উত্তম চরিত্রের মাধ্যমে দিনের বেলায় রােযা এবং রাতের বেলায় নামাযে রত ব্যক্তিদের মর্যাদা পেয়ে যায়, আবার কখনাে বান্দাকে অহংকারী ও অবাধ্য বলে লিখে দেওয়া হয়, অথচ সে নিজেদের পরিবারের সদস্য ব্যতীত অন্য কিছুরই মালিক নয়।” তথ্যসূত্রঃ মু'জামুল আওসাত, হাদীস নং- ৬২৭৩-৬২৮৩, ৪/৩৬৯-৩৭২ (কপি : উত্তম চরিত্র বই)